বরিশাল বিভাগে জেলা উপজেলা পর্যায়ে খাটো জাতের নারিকেলের চারা বিতরণ, রোপণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম
বেশি ফলন, সহজ ব্যবস্থাপনা এবং ভবিষ্যতে উচ্চমূল্যে প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকায় বরিশালের সর্বত্র খাটো জাতের নারিকেলের আবাদ হচ্ছে। নারিকেল গাছ ও ফলের কোন অংশই ফেলনার নয়। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ ফলের আবাদ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তথা উপকূলীয় এলাকায় বেশি হয়। কিন্তু এ অঞ্চলের গাছগুলো লম্বা প্রকৃতির হওয়ায় ব্যবস্থাপনা কঠিন। এছাড়া ফলনও কাঙ্খিত নয়। গাছপ্রতি গড় ফলন ৩০ থেকে ৪০টি। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধমে ভিয়েতনাম থেকে সিয়াম গ্রীণ ও সিয়াম ব্লু নামক খাটো জাতের নারিকেলের চারা সংগ্রহ করা হয়েছে, যা মাত্র তিন বছরে ফলন দিতে সক্ষম। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিটি গাছ থেকে বছরে ২৫০ থেকে ৩০০টি নারিকেল পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে খাটো প্রকৃতির হওয়ায় এর পরিচর্যাও সহজ। এসব গুণাবলী বিদ্যমান থাকায় বরিশাল অঞ্চলের কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট খাটো জাতের নারিকেলের চারা সমাদৃত হয়েছে, যা কৃষি বিভাগের উদ্বুদ্ধকরণের ফলে সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে এ বিভাগে দশ হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ব্লকপ্রতি কমপক্ষে দশটি করে চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে নারিকেলের খামার করতে ইচ্ছুক এমন চাষি নির্বাচন করার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে প্রায় আট হাজার চারা রোপিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রহমতপুরস্থ হর্টিকালচার সেন্টারে প্রায় তিনশ গাছের সমন্বয়ে খাটো জাতের নারিকেলের একটি মাতৃবাগান করা হয়েছে। বাগানটি সর্জান পদ্ধতিতে করা যেখানে মাল্টাসহ অন্যান্য ফল ফসলের গাছ রয়েছে।